(Network Topology)
নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology)
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ও কম্পিউটারসমূহ একটি অন্যটির সাথে সংযুক্ত থাকার পদ্ধতিকে নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) বলে। নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো কিভাবে সংযুক্ত আছে, ক্যাবল কিভাবে একটি আরেকটির সাথে যুক্ত আছে, এটিই টপোলজির মূল বিষয়।
বাস টপোলজি (Bus Topology)
বাস টপোলজিতে সাধারনত একটি মাত্র সংযোগ লাইন ব্যবহার করে নেটওর্য়াকের সবগুলি নোড যুক্ত করা হয়ে থাকে। এই সংযোগ লাইনকে বাস বা ব্যাকবোন ক্যাবল বলা হয়। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডে সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। প্রেরিত ডাটা প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রত্যেকটি কম্পিউটার ডাটা পরীক্ষা করে। কেবলমাত্র প্রাপক কম্পিউটার সেই ডাটা গ্রহন করে। বাস টপোলজিতে কোন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারে কাজ করতে কোন অসুবিধা হয় না।
স্টার টপোলজি (Star Topology)
স্টার টপোলজিতে নেটওয়ার্কভূক্ত সকল কম্পিউটার থেকে ক্যাবল বের হয়ে এসে একটি কেন্দ্রিয় স্থানে একটি ডিভাইসের সাথে যুক্ত হয়। কেন্দ্রিয় ডিভাইস হাব অথবা সুইচ হতে পারে। স্টার টপোলজির সুবিধা হল নেটওয়ার্কভুক্ত কোন কম্পিউটার নষ্ট বা কোন সমস্যা হলে শুধুমাত্র ঐ নিদিষ্ট কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুবিধা হতে বঞ্চিচ হয় অন্যান্য সকল কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক সচল থাকে। তবে কেন্দ্রিয় ডিভাইস নষ্ট হলে সমস্ত নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পরে।
রিং টপোলজি (Ring Topology)
এই নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে বৃত্তাকার ভাবে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার সংকেত পাঠালে তা পরবর্তী নোডের দিকে প্রবাহিত করে। এভাবে তথ্যের একমুখী প্রবাহ পুরো বৃত্তাকার পথে ঘুরে আসে । এ ধরনের সংগঠনে কম্পিউটারগুলো সরাসরি পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে না বিধায় নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার অন্য যে কোন কম্পিউটারে সরাসরি সংকেত পাঠাতে পারে না। এজন্য নেটওয়ার্কের কোন কম্পিউটার খারাপ হয়ে গেলে পুরো নেটওয়ার্কটি অকেজো হয়ে পড়ে।
ট্রি টপোলজি (Tree Topology)
স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপই হলো ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাধিক হাব ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারগুলিকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট। ট্রি টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারের সাথে আবার তৃতীয় স্তরের কম্পিউটার যুক্ত থাকে। দ্বীতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারের হোস্ট হিসাবে কাজ করে।
মেশ টপোলজি (Mesh Topology)
মেশ টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার নেটওর্য়াকের অন্য সকল কম্পিউটারের সংগে সরাসরি যুক্ত থাকে। এই সংগঠনে নেটওর্য়াকভুক্ত কম্পউিটার গুলো একে অপরের সাথে সরাসরি ডেটা আদান প্রদান করতে পারে। যে কোন দুইটি নোডের মধ্যে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সংকেত আদান-প্রদান করা যায়। N (N-1)/2 এই সূত্র ব্যবহার করে মেশ টপোলজিতে তারের সংযোগ সংখ্যা বের করা যায়।
হাইব্রিড টপোলজি (Hybrid Topology)
স্টার, বাস, রিং ও অন্য সকল টপোলজির সমন্বয়ে যে টপোলজি গঠন করা হয়ে থাকে তাকে হাইব্রিড টপোলজি বলা হয়। বড় ধরনের নেটওয়ার্কে সাধারনত হাইব্রিড টপোলজি ব্যবহার করা হয়। হাইব্রীড টপোলজির উতকৃষ্ট উদাহরন হল ইন্টারনেট।
এই টপিকটির English Version পড়তে এখানে ক্লিক কর।