সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর
ডেসিম্যাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অন্য যেকোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর
ডেসিম্যাল সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অন্য যেকোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তরের সাধারণ নিয়মাবলি : কোনো সংখ্যার একটি বা দুটি অংশ থাকতে পারে। যথা- পূর্ণাংশ ও ভগ্নাংশ। নিচে পূর্ণাংশ ও ভগ্নাংশ রূপান্তরের সাধারণ নিয়ম দেখানো হলো।
পূর্ণাংশের ক্ষেত্রে
ধাপ-১: ডেসিম্যাল বা দশমিক সংখ্যাকে অন্য কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করার জন্য দশমিক সংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তি (যেমন- বাইনারি হলে ২, অক্টাল হলে ৮, হেক্সাডেসিম্যাল হলে ১৬) দ্বারা ভাগ করতে হবে এবং ভাগশেষটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-২: প্রাপ্ত ভাগফলকে আবার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তি দ্বারা ভাগ করে ভাগশেষটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-৩: এই ভাগ পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে করতে হবে যতক্ষণ না ভাগফল ০ (শূন্য) হয়।
ধাপ-৪: সংরক্ষিত ভাগশেষগুলো নিচ থেকে উপরে সাজিয়ে (সর্বশেষ থেকে প্রথমটি পর্যন্ত) লিখলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় তাই রূপান্তরিত কাঙ্ক্ষিত পদ্ধতির সংখ্যা।
ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে
ধাপ-১: যে ডেসিম্যাল ভগ্নাংশকে রূপান্তর করতে হবে তাকে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তি (যেমন- বাইনারি হলে ২, অক্টাল হলে ৮, হেক্সাডেসিম্যাল হলে ১৬) দ্বারা গুণ করতে হবে। গুণ করার পর গুণফলের সাধারনত দুইটি অংশ থেকে পূর্ণাংশটিকে সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পূর্ণাংশ না থাকে তাহলে ০ (শূন্য) সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-২: সর্বশেষ প্রাপ্ত গুণফলের ভগ্নাংশকে (পূর্ণাংশটিকে নয়) আবার কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তি দ্বারা গুণ করতে হবে এবং প্রাপ্ত গুণফলের পূর্ণাংশটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ধাপ-৩: এভাবে প্রাপ্ত ভগ্নাংশের পর্যায়ক্রমে গুণ চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সম্পূর্ণ ভগ্নাংশ ০ (শূন্য)-তে পরিণত না হয়।
ধাপ-৪: সংরক্ষিত পূর্ণাংশগুলো (অঙ্কগুলোকে) র্যাডিক্স (Radix) পয়েন্ট বা দশমিক বিন্দু দিয়ে প্রথম থেকে সর্বশেষটি পর্যন্ত সাজিয়ে লিখলেই রূপান্তরিত সংখ্যার ভগ্নাংশ মান পাওয়া যাবে।
EXAMPLE