আইসিটি প্রথম অধ্যায় বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর – HSC ICT

Date

Share With Your Friends

এই পেজে আলোচিত সকল গূরূত্বপূর্ন বিষয় সমূহঃ

প্রথম অধ্যায়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত

ICT:World & Bangladesh Perspective এই অধ্যায়ের প্রতিটি টপিক এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

ডেটা (Data) বা উপাত্ত কী?

ডেটা একটি একক ধারনা অর্থাৎ ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম এককই হচ্ছে ডেটা। সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাউয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহিত কাঁচামাল সমুহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। কোন শব্দ, সংখ্যা, ছবি, প্রতীক ইত্যাদি যে কোনো কিছুই উপাত্ত বা ডেটা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে । অর্থাৎ তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হলো ডেটা যা আসলে এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন, ছবি ইত্যাদি, যা সুনির্দিষ্ট বা যথাযথ অর্থ বা ভাব প্রকাশে সক্ষম নয় ।

Types of data

Note: ল্যাটিন শব্দ Datum শব্দের বহুবচন হল ডেটা (Data) যার অর্থ (Fact)।

তথ্য (Information) কী?

কোনো কিছু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা বা জ্ঞান লাভ করার জন্য সে সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটা বা উপাত্তকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনাকে তথ্য বা Information বলা হয় । তথ্য দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পুর্নাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।

Note: Information শব্দটি ল্যাটিন শব্দমূল ‘informatio’ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার ক্রিয়ামূল ‘informare’, যার অর্থ – পথ দেখানো, শেখানো, কাউকে কোনো কিছু সম্পর্কে অবগত করা, কোনো কিছু আদান-প্রদান করা প্রভৃতি।

তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) কী?

তথ্য প্রযুক্তি বলতে সাধারণত তথ্য রাখা এবং একে ব্যবহার করার প্রযুক্তিকেই বুঝানো হয়। একে ইনফরমেশন টেকনোলজিও (Information Technology – IT) নামে অভিহিত করা হয় । সহজ ভাবে বলা যায়,তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরন, পরিবহন, বিতরন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি হলো তথ্য প্রযুক্ত। এককথায় তথ্য ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়।

Note: ক্লাউডি এলউড শ্যানন (Claude Elwood Shannon)১৯১৬ সালের ৩০ এপ্রিল আমেরিকার মিশিগান রাজ্যে জন্ম নেয়া এই আমেরিকান গণিতবিদকে তথ্য প্রযুক্তির জনক হিসেবে অভিহিত করা হয় । ১৯৩৭ সালে MIT এর ছাত্র থাকাকালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইন থিয়েরি আবিষ্কার করেন । ১৯৪৮ সালে “A Mathematical Theory of Information” নামে তার যে পেপারটি প্রকাশিত হয়, এর কারণেই তাকে তথ্য প্রযুক্তির জনক বলা হয় ।

যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology) কী?

যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন সিস্টেম হলো কম্পিউটার বা কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি । একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য ভাবে তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি। অন্যভাবে বলা যায়, ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।

Note: গ্রিক শব্দ Techne (যার অর্থ হলো আর্ট) বা শিল্প, কারু কিংবা হাতের দক্ষতা এবং logia (শব্দ) এ দুয়ের সমন্বয়ে টেকনোলোজি শব্দটি গঠিত । প্রযুক্তি বলতে সাধারণভাবে কতিপয় কৌশল ও প্রক্রিয়ার সমন্বিত জ্ঞানকে বুঝায় । 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) কী?

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি (Information and Communications Technology) সাধারণভাবে তথ্য প্রযুক্তির সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক ধরনের একীভূত যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেকোন প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি,তথ্য দ্রুত আহরণ, প্রয়োজন অনুযায়ী সংরক্ষণ, আধুনিকীকরণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সঞ্চালনে ব্যবহৃত সকল ইলেক্ট্রনিক্স প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজী বলে। তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে । একটি ছাড়া আরেকটি কল্পনা করা যায় না। তাই তথ্য প্রযুক্তিকে বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি(ICT) বলা হয়।

গ্লোবাল ভিলেজ (Global Village) বা বিশ্বগ্রাম কী?

গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর এমন একটি সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা, যেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষ দুরবর্তী স্থানে অবস্থান করেও একটি একক সমাজে বসবাস করার সুবিধা পায় এবং  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সেবা প্রদান করে থাকে।“ গ্লোবাল ভিলেজ হচ্ছে এমন একটি ধারনা যেখানে গোটা পৃথিবীকে একটি গ্রাম হিসেবে মনে করা হয়। অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বকেই গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম বলা হয়।

 

Note: ক্যানাডিয়ান দার্শনিক হারবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান (Herbert Marchall Mcluhan) কে বিশ্বগ্রামের জনক বলা হয়। ১৯৬২ সালে তার ‘The Gutenberg Galaxy’ ও ১৯৬৪ সালে Understanding Media নামক দুটি বইয়ে তিনি সর্বপ্রথম গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কথাটি উল্লেখ করেন।

টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing) কী?

কম্পিউটার, বা টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি যেমন টেলিফোন, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ব্যবহার করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোনো সভা বা সেমিনারে অংশগ্রহণ করার পদ্ধতিকে টেলিকনফারেন্সিং বলা হয় । এ পদ্ধতিতে একই স্থানে না এসে ভিন্ন ভিন্ন একদল লোক সভায় মিলিত হয়ে নিজেদের মতামত ও রিপোর্ট পেশ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারে ।

Note: মরি টারফ ১৯৭৫ সালে এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনের আমলে প্রশাসকদের মধ্যে টেলিকনফারেন্স ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।

ভিডিও কনফারেন্সিং (Videoconferencing) কী?

ভিডিও কনফারেন্সিং হলো ইন্টারনেট নির্ভর একটি অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। ভিন্ন ভৌগোলিক দূরুতে অবস্থান করে টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তির সাহায্যে দুই বা ততোধিক ব্যাক্তিবর্গের সাথে উভমুখী ভিডিও এবং অডিও শেয়ারিং পদ্ধতিতে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশল হলো ভিডিও কনফারেন্সিং।স্কাইপী, ফেসবুক মেসেঞ্জার, imo, WhatsApp, viber, ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।

ই-মেইল(Email) কী?

ই-মেইল এর পূর্ণরূপ হল ইলেকট্রনিক মেইল। এটি হলো ডিজিটাল বার্তা আদান প্রদানের একটি মাধ্যম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস (কম্পিউটার, মোবাইল প্রভৃতি) এর মধ্যে ডিজিটাল তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থাকে ই-মেইল বলে । ই-মেইলে সাধারনত ২ টি অংশ থাকে –প্রথম অংশে ব্যবহারকারীর পরিচিতি(User Identity) এবং @ এর পরের অংশ ডোমেইন(Domain Name) নেম।

Email transfer system
Email transfer system

Note: ই-মেইল এর জনক “রে টমলি সন”। ১৯৭১ সালে ‘qwertyuiop’ এই টেক্সটটি ‘টমলি সন‘ পরিক্ষামূলক ভাবে নিজের কাছেই প্রথম ইমেইল প্রেরণ করে। এছাড়া তিনিই ইমেইলের মাঝখানে ‘@’ এর প্রথম ব্যবহার করে। Internet এ Email পাঠানোর প্রটোকলের নাম হলো SMTP।

টেলিমেডিসিন (Telemedicine) কী?

টেলিমেডিসিন এক ধরনের চিকিৎসা সেবা যা টেলিফোন বা মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকে রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হতে অতিদ্রুত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারে। বর্তমানে ঘরে বসেই টেলিকনফারেন্স বা ভিডিও কনফারেন্স বা অনলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা যায়, একে টেলিমেডিসিন বলে।

অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থানরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।

স্মার্ট হোম (SMART HOME) / হোম অটোমেশন (Home Automation) কী?

স্মার্ট হোম এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমোট কন্ট্রোল এবং প্রোগ্রামিং ডিভাইসের মাধ্যমে এর হিটিং, কুলিং, লাইটিং এবং সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে অফিসের ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষন, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে অভ্যন্তরীন ও বহিঃযোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তথা বাস্তবায়ন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা যায়। এই ধরণের প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রমকে বলা হয় অফিস অটোমেশন

দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং (Distance Learning) কী?

দূরশিক্ষণ এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কোনো সময়ে এবং বয়সের শিক্ষার্থী ঘরে বসে অথবা কর্মস্থলে বসে শিক্ষার সুযোগ লাভ করে থাকে। একজন শিক্ষক ঘরে বসেই বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরির পর অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ার সাহায্যে শেয়ার করে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, লাইভ ক্লাস ইত্যাদি মাধ্যমে শিক্ষা দান করতে পারে এবং শিক্ষার্থীরাও ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহন করতে পারে। একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে অনলাইনেই পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারে। এমনকি ঘরে বসেই ফলাফল জানতে পারে। এই ধারণাকে বলা হয় দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং

ই-লার্নিং এক ধরনের দূরশিক্ষণ (ডিসটেন্স লার্নিং) পদ্ধতি। শিক্ষার্থীকে সরাসরি ক্লাস কিংবা পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে তার সুবিধাজনক সময়ে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে কম্পিউটার, মোবাইল, ভিডিও, টেলিভিশন, ভিডিও কনফারেন্সিং, ওয়েবসাইট, ই-মেইল, সফটওয়্যার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী একে অপর থেকে দূরে থেকেও যে শিক্ষাব্যবস্থা চালিয়ে নিতে পারে, তাই ই-লার্নিং।

প্রথম অধ্যায়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

ইবুক (E-Book) কী?

ইবুক বা ইলেকট্রনিক বুক বলতে ডিজিটাল ফর্মে টেক্সট, চিত্র ইত্যাদি ডকুমেন্ট বইকে বুঝায়। ইলেক্ট্রনিক বুক (যাকে ই-বুক, ইবুক, ডিজিটাল বুক বা ই-সংস্করণও বলা হয়) হলো একটি বই যার প্রকাশনা করা হয়েছে ডিজিটাল আকারে, যাতে সাধারণ বইয়ের মতই লেখা, ছবি, চিত্রলেখ ইত্যাদি রাখা হয়েছে এবং এগুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে পড়া যায়।

Note: ই বুকের জনক – মাইকেল এস হার্ট। ১৯৭১ সালে তিনি এই উন্মুক্ত ডিজিটাল গ্রন্থাগারের প্রকল্পটি শুরু করেন।

ই-কমার্স (E-Commerce) কী?

ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে ব্যবসা বাণিজ্য সংঘটিত হয় তাকে ই-কমার্স (E-Commerce) বলে। ই-কমার্স (e-commerce) একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি যেখানে অনলাইনের সাহায্য ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।। কিছু ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর উদাহরণ- alibaba.com, amazon.com, daraz.com.bd ইত্যাদি।

আউটসোর্সিং (Outsourcing) কী?

আউটসোর্সিং মূলত একটি ব্যবসায়িক শব্দ, যার মানে হচ্ছে, কোন কাজ কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কর্মচারীকে দিয়ে না করিয়ে ওই কাজ বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়া নেয়া। কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে তৃতীয় কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়াকে বলা হয় আউটসোর্সিং। এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন জব শেয়ারিং ওয়েবসাইটে (যেমন- upwork.com, fiverr.com, freelancer.com, peopleperhour.com) তাদের জবগুলো পোষ্ট করে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) কী?

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো স্বাধীন বা মুক্তপেশা। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি না করে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মোতাবেক কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। এই ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন জব শেয়ারিং ওয়েবসাইটে (যেমন- upwork.com, fiverr.com, freelancer.com, etc) তার দক্ষতা অনুযায়ী জবের জন্য আবেদন করে থাকে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality) / VR কী?

ভার্চুয়াল শব্দের অর্থ হচ্ছে কল্পনা ও রিয়েলিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে বাস্তবতা। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হল কল্প বাস্তবতা। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্পবাস্তবতা বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন এক ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারি বাস্তবের ন্যায় স্পর্শানুভুতি, দর্শণানুভূতি, শ্রবণানুভূতি পেয়ে থাকে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও সম্ভব করা যায়।

 

Note: Virtual reality শব্দটি সর্ব প্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি কবি ও নাট্যকার অ্যান্টনিম আরচিউড। তার লেখা গ্রন্থ The Theatre and Double ১৮৩৮ সালে প্রকাশিত হয় , এখানে তিনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দ টি ব্যবহার করেন।“Morton Heiling” ১৯৫৭ সালে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) / AI কী?

আর্টিফিসিয়াল(Artificial) অর্থ হলো কৃত্রিম এবং ইনটেলিজেন্স(Intelligence) অর্থ হলো বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স মানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা । মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সি। মানুষ যেভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়, কৃত্তিম উপায়ে কোন যন্ত্র যদি সেভাবে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তখন সেই যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তাকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলা হয়।

Note: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক হলেন বৃটিশ বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অ্যালান টুরিং(Alan Mathison Turing)। ১৯৫০ সালে তার আবিষ্কৃত “টুরিং টেস্ট” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ধারণার ভিত্তি স্থাপন করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শব্দটি ১৯৫6 সালে জন ম্যাকার্থারির দ্বারা প্রথম তৈরি করা হয়েছিল। AI এর জন্য LISP, CLISP, PROLOG ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয়।

রোবোটিক্স( Robotics) কী?

রোবটিক্স শব্দটি এসেছে রোবট(Robot) থেকে। Robot শব্দটি মূলত এসেছে স্লাভিক শব্দ Robota হতে যার অর্থ হলো ‘শ্রমিক’। প্রযুক্তির যে শাখা  রোবটের ডিজাইন, নির্মাণ এবং এর প্রয়োগ বিধি নিয়ে আলোচনা করে তাকেই রোবটিক্স বলে। রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরণের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যন্ত্র যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কোন ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করতে পারে। এটি তৈরী হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে যা Computer program দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

Note: ১৯২০ সালে সর্বপ্রথম চেক স্লাভিয়ান নাট্যকার Kernel Capek রোবট শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৫৪ সালে জর্জ ডিভোল উদ্ভাবন করেন প্রথম ডিজিটাল এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবট। বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রামেবল রোবট এর নাম হলো ইউমিনেট। পৃথিবীর প্রথম রোবট হিসেবে সোফিয়া নামক রোবট যা কোন দেশের জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব লাভ করে।

এক্সপার্ট সিস্টেম(Expert System) কী?

এক্সপার্ট সিস্টেম হোলো একটি প্যাকেজ সফ্টওয়্যার যা সুসংগঠিত তথ্য ব্যবহার করে কম্পিউটারকে কোন বিষয়ে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ করে তুলে। অন্যভাবে বলা যায়- এক্সপার্ট সিস্টেম হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন একটি সিস্টেম যা মানুষের চিন্তা-ভাবনা করার দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতাকে একত্রে ধারণ করে। এটি মানব মস্তিস্কের মত পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ সাফল্য লাভের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই সিস্টেমে বিশাল তথ্য ভাণ্ডার দিয়ে সমৃদ্ধ থাকে, যাকে নলেজবেজ বলা হয়। ব্যবহারকারীরা এ সিস্টেম থেকে প্রশ্ন করে উত্তর জানতে পারে।

এক্সপার্ট সিস্টেম(Expert System) কী?
Expert System

Note: ডাক্তাররা চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিল সমস্যার কথা ক্যাডুলাস (CADULAS) এবং মাইসিন নামক এক্সপার্ট সিস্টেম থেকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারে, কমপিউটার ডিজাইনাররা R1 নামক এক্সপার্ট সিস্টেমকে প্রশ্ন করে সাহায্য নিতে পারে ।

ফাজি লজিক(Fuzzy Logic)  কী?

যে যুক্তি ব্যবস্থায় কোন সমস্যার সমাধান ১ (হ্যাঁ) অথবা ০ (না) ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে দেওয়া যায়, তাকে ফাজি লজিক বলে। বাইনারি ব্যাবস্থায় একটি সমস্যার সমাধান ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ – এই দু’টি উপায়ে দেয়া যায়। কিন্তু ফাজি লজিকে একটি সমস্যার সমাধান দুইয়ের অধিক উপায়ে দেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি প্রশ্ন করা হয় ‘এখন কি রাত?’ বাইনারী ব্যবস্থায় উত্তর হবে – ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’; অন্যদিকে, ফাজি লজিকে হ্যাঁ অথবা না ছাড়াও আরো উত্তর হতে পারে – মধ্যরাত, শেষরাত, সুবহে সাদিক ইত্যাদি।

Note: লতফি জাদেহকে ফাজি লজিকের জনক বলা হয়। ১৯৬৫ সাথে সর্বপ্রথম ফাজি লজিক সম্পর্কে ধারণা দেন লতফি জাদেহ।

ক্রায়োপ্রোব (Cryoprob) কী?

ক্রায়োপ্রোব হচ্ছে ক্রায়োসার্জারিতে ব্যবহারিত এক ধরনের মেডিক্যাল ডিভাইস, যা চামড়ার কোন ক্ষত বা আঁচিল সারাবার জন্য ক্রায়োসার্জারি ট্রিটমেন্ট করে।

Note: গ্রিক শব্দ ক্রাউস(kruos) থেকে ক্রায়ো (Cryo) শব্দটি এসেছে যার অর্থ বরফের মতো ঠাণ্ডা এবং ‘সার্জারি’ অর্থ শৈল্য চিকিৎসা। অর্থাৎ ক্রায়োসার্জারি হলো এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয়।

বায়োমেট্রিক্স (Biometrics) কী?

গ্রীক শব্দ “bio” যার অর্থ Life বা প্রাণ ও “metric” যার অর্থ পরিমাপ করা। বায়োমেট্রিক্স হলো বায়োলজিক্যাল (জৈবিক) ডেটা পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার প্রযুক্তি। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা যায়। কোন সিস্টেমে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে এবং ব্যক্তি সনাক্তকরণে বায়োমেট্রিক্স ব্যবহৃত হয়।

 

Note: সর্ব প্রথম বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করেন স্যার উইলিয়াম হার্সে। তিনি তার অধীনস্থ কর্মচারীদের সনাক্তকরণের জন্য চুক্তিনামার উল্টোপিঠে হাতের ছাপ নিতেন।

বায়োইনফরমেটিক্স (Bioinformatics) কী?

বায়োইনফরমেটিক্স হলো বিজ্ঞানের সেই শাখা যা বায়োলজিক্যাল ডেটা অ্যানালাইসিস করার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে। বায়োইনফরমেটিক্স এমন একটি কৌশল যেখানে ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যাসমূহ সমাধান করা হয়। মূলত জীববিজ্ঞানের আণবিক পর্যায়ে গবেষণাই এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়। বায়োইনফরমেটিক্স এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জৈবিক পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করা।

Note: স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডোনাল্ড নুথ (Donald Knuth) সর্বপ্রথম Bioinformatics এর ধারণা দেন।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering) or জেনেটিক মডিফিকেশনও (Genetic Modification/ manipulation) কী?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী ডিএনএ (DNA) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তর করে । অর্থাৎ বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে কোন জীবের জিনোম কে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সাজিয়ে নেওয়ায় হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। একে জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে।

Note: ১৯৭২ সালে Paul Berg বানরের ভাইরাস SV40 ও lambda virus-এর ডিএনএর সংযোগ ঘটিয়ে বিশ্বের প্রথম রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ অণু তৈরি করেন। এ জন্য Paul Berg-কে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জনক বলা হয়।

ন্যানো টেকনোলজি (Nano Technology) কী?

পদার্থকে পারমাণবিক আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তি হচ্ছে ন্যানোটেকনোলজি। পারমানবিক ও আনবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরী করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞানকে ন্যানো টেকনোলজি বলে।

Note: ন্যানো শব্দটি গ্রিক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার অভিধানিক অর্থ হল dwarft কিন্তু এটি মাপের একক হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগকে বলা হয় ১ ন্যানো মিটার। আর এই ন্যানোমিটার স্কেলে সম্পর্কিত সমস্ত টেকনোলজিকে ন্যানো টেকনোলজি বলে। ন্যানো টেকনোলজির জনক হচ্ছেন আমেরিকান পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান (Richard Feynman)

ডিজিটাল কনভারজেন্স (Digital Convergence) কী?

ডিজিটাল কনভারজেন্স হলো বিভিন্ন প্রযুক্তিকে (তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ প্রযুক্তি, কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স,বিনোদন বা গেম ইত্যাদি ) মিলিত করে একটি মাধ্যমে একীভুত করা এবং কার্যকর ভাবে পরিচালনা করা। এক কোথায় বলতে গেলে ডিজিটাল কনভারজেন্স হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল ডিভাইস একত্রীকরণ।

বুলেটিন বোর্ড (Bulletin Board) কী?

বুলেটিন বোর্ড হলো ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন প্রদানের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ব্যবস্থা যাতে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে।

হ্যাকিং (Hacking) কী/হ্যাকার (Hacker) কাকে বলে?

বৈধ অনুমতি ব্যতীত কারো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফাইল বা তথ্যের পরিবর্তন/ ক্ষতিসাধন করার প্রক্রিয়াই হচ্ছে হ্যাকিং (Hacking)। যেসকল ব্যাক্তি এই হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার (Hacker) ।

Note: যেসকল হ্যাকাররা ফোন হ্যাকিং করে তাদেরকে বলা হত Phreaker এবং ফোন হ্যাক করার এ প্রক্রিয়া কে বলা হয় Phreaking । এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যাবহার করত।

জিপিএস (GPS) কী?

জিপিএস (GPS) একটি কৃত্তিম উপগ্রহ ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। জিপিএস (GPS) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Global Positioning System যার মাধ্যমে কোন স্থান নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। জিপিএস পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় নিমেষেই আমাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে ও সঠিক গন্তব্যে পৌঁছার দিকনির্দেশনা দিতে পারে। জিপিএস কোনো নির্দিষ্ট স্থান নির্ণয়ের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।

স্প্যামিং (Spamming) কী?

ই-মেইল অ্যাকাউন্টে প্রায়ই কিছু কিছু অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় মেইল পাওয়া যায় যা আমাদের বিরক্তি ঘটায় এ সমস্ত মেইলকে স্প্যাম মেইল বলে।

যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কোন একটি ইমেইল অ্যাড্রেসে শতশত এমনকি লক্ষ লক্ষ মেইল প্রেরণের মাধ্যমে সার্ভারকে ব্যস্ত বা সার্ভারের পারফর্মেন্সের ক্ষতি করে বা মেমোরি দখল করে, তখন এই পদ্ধতিকে স্প্যামিং বলে।

ফিশিং (Phishing) কী?

ইন্টারনেটে ফিশিং (ইংরেজিতে Phishing) বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য – ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। ফিশিং (Phishing) হচ্ছে এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে একজন হ্যাকার খুব সহজেই আপনার জিমেইল/ফেসবুক সহ অনন্য আইডি কিংবা পার্সোনাল ইনফরমেশন হ্যাক করতে পারে।

স্পুফিং (Spoofing) কী?

স্পুফ (Spoof) অর্থ প্রতারণা করা, ধোঁকা দেওয়া। আইটি জগতেও স্পুফিং (Spoofing) মানে কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা ইউজারকে ধোঁকা দেওয়া। স্পুফিং হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কোন ব্যক্তি বা কোন একটি প্রোগ্রাম মিথ্যা বা ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে নেটওয়াকর্কে বিভ্রান্ত করে এবং এর সিকিউরিটি সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে অনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করে।

আইসিটি প্রথম অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন পড়তে এইখানে ক্লিক কর

ICT ২য় অধ্যায় অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর – HSC ICT

আইসিটি ২য় অধ্যায় কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং এর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর- HSC ICT

HSC Short Syllabus 2023 Published by Education Ministry | PDF Download

HSC ICT Book Free PDF Download Link

 

More
articles

Need Help?

I’m Here To Assist You

Feel free to contact me, and I will be more than happy to answer all of your questions.